প্রকাশিত: Mon, Dec 12, 2022 5:29 PM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 10:53 PM

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি বন্ধ

সঞ্চয় বিশ্বাস: এক যুগ পার করা ২২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য চলতি মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। নয়তো জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। ইউজিসিতে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্যেই জানা গেছে, সময়সীমার মধ্যে ১২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারছে না।

ইউজিসি সূত্র জানায়, দেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৯টি। এর মধ্যে ৩৩টি আগেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেছে। ১২ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারা ২২ বিশ্ববিদ্যালয়কে গত এপ্রিলে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটি কোনোটি ইতিমধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে বা ডিসেম্বরের মধ্যে চলে যাবে বলে জানিয়েছে। বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কেউ সময় চেয়েছে। আবার কেউ কেউ সঠিকভাবে তথ্যও দিচ্ছে না। তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের যে অবস্থা তাতে ডিসেম্বরের মধ্যে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ বলেন, আরও কিছুদিন বাকি আছে। এর মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য পাওয়ার পর বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে জানুয়ারি সেশন থেকে তাদের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখা হবে।

এই ১২ বিশ^বিদ্যালয় হলো দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশা ইউনিভার্সিটি। 

যে ১০ বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাবে সেগুলো হলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব